December 22, 2024, 2:11 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কিছুদিন ধরেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছিলেন বহিরাগত অছাত্র ‘ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাসে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত গতির মোটরসাইকেল চালনা ছিল তার অন্যতম। এ বিষয়ে কতৃপক্ষ তেমন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে অনেক শিক্ষার্থী।
এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো বুধবার সন্ধ্যায়। অনিয়ন্ত্রিত বাইকের গতিতে এক শিক্ষার্থীর হাতে আঘাত পাওয়ার অভিযোগে কয়েক বহিরাগতকে মারধর করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ইফতারের আগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বহিরাগত রকি, শান্ত মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসের জিয়া হল মোড়ে আসেন। এ সময় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী হাসিব সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পাশ দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে যাওয়ার সময় রকির মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস হাসিবের হাতে লাগে। এতে হাতে আঘাত পান হাসিব। রকি একটু সামনে গিয়ে থামলে হাসিব সেখানে যায়। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে হাসিব ক্ষিপ্ত হয়ে রকিকে থাপ্পড় দেন। একপর্যায়ে হাসিব ও তার সহযোগী সালমানসহ অন্যান্যরা রকি ও তার বন্ধুদের স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে রকি পাশের ড্রেনে পড়ে যায়। এসময় রকির মাথায় ও হাতে আঘাত লেগে গুরুতর জখম হয়। হাসিবও তার সহযোগীরা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের অনুসারী। এছাড়া বহিরাগত রকি ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খানের শ্যালক বলে জানা গেছে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা বিপুল, অনিক, সোহাগ ঘটনাস্থলে আসেন মীমাংসার জন্য। তবে মীমাংসা করতে গেলে উভয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ইফতারের সময় হলে বিপুল ও তার কর্মীরা হলে চলে যায়৷ এর কিছুক্ষণ পর শেখ রাসেল মোড়ে কয়েকজন বহিরাগতকে দেশীয় অস্ত্র হাতে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে সোহাগের কর্মীরা জিয়া মোড়ের পাশে ক্রিকেট মাঠে অবস্থান নেয়। এ ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করছিল হল প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যরা হলগুলো পরিদর্শন করছিলেন।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহাগ গ্রুপের কর্মীরা প্রক্টরের কাছে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত বাইক চালানো ও তাদের দৌরাত্ম্য রোধ করার দাবি জানান। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের দাবির বিষয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply